আমাদের জীবনে কোনো না কোনো সময় মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। আর যখন মাথা ব্যথা হয়, তখন কিছুই ভালো লাগে না। এই মাথা ব্যথা একটি ভয়ংকর রোগ মাথা ব্যথা হলে মোটেও অবহেলা করলে চলবে না কারণ এই মাথা ব্যথার ফলে অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। মাথা ব্যথা বলতে অনেকে পুরো মাথাই ব্যথা বোঝে কিন্তু বিষয়টা তা নয়। অনেকের ব্যথা মাথার নিদিষ্ট কিছু জায়গায় হয়ে থাকে আবার অনেকের পুরো মাথাই ব্যথা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাথা ব্যথার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে এটা কে এরিয়ে যাওয়া মোটেও উচিত নয়। দুই মাস কিংবা চার মাস পর পর মাথা ব্যথা হলে সেটা কোনো সমস্যা বা বড় কোনো রোগ এর আসংখ্যা নয় কিন্তু দুই বা তিন দিন পর পর কিংবা প্রতিদিন মাথা ব্যথা হলে এটা অনেক বড় সমস্যা অথবা বড় কোনো রোগের কারণ।কোন কোন কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে সেই বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।
১)সাইনাসের ব্যথা
সাইনাস হলো হল মাথার ভিতর থাকা ছোট ছোট বায়ুভর্তি কুঠুরি। সাইনাসের এই বায়ু ভর্তি কুঠুরি মানুষের মাথা হালকা রাখতে সাহায্য করে।কোনও সংক্রমণের কারণে মাথার ভিতরের এই অংশে তৈরি হয় সমস্যার। সেই সময় মাথায় তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। মাথা ব্যথার পাশাপাশি থাকতে পারে নাক দিয়ে পানি পড়া, কানের ব্যথা, জ্বর, মুখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত মানুষটি তার গার বা মাথা লারাতেও পারে না। প্রত্যেকটি মানুষকে এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
২) মাইগ্রেন
মাইগ্রেন এই রোগটি বিষয়ে সকলেই কম বেশি জানেন। এটি একটি অদ্ভুত ধরনের রোগ। মাইগ্রেন রোগে আক্রান্ত হলে যন্ত্রণার শেষ থাকে না। এই রোগের ব্যথা প্রথমে মাথার নিদিষ্ট কিছু অংশে হতে পারে আবার সেই ব্যথা মাথা ছাড়িয়ে চোখেও চলে আসতে পারে। এর ফলে চোখের বিভিন্ন সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেনের ব্যথার পিছনে কিছু ট্রিগার ফ্যাকটর থাকতে পারে। এক্ষেত্রে আলো, শব্দ, গন্ধ সহ বিভিন্ন কারণে মাথায় এমন ব্যথা হয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
৩) টেনশন হেডেক
টেনশন হেডেক মাথার পিছনের অংশে হয়। এক্ষেত্রে ঘাড়ের সামান্য উপরে ব্যথা হয়। এই রোগ হলে প্রথমে মাথার উপরের অংশ ভারী হয়ে যায় তারপর ব্যথা শুরু হয়। কাঁদ এবং গলা শক্ত হয়ে যাওয়াও এই রোগটির অন্যতম লক্ষণ। অনেকসময় এই টেনশনের কারণে হেডেক শুরু হয়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে হতে হবে সচেতন। এক্ষেত্রে টেনশন কমিয়ে নিন।
৪) ক্লাস্টার হেডেক
দিনের বিভিন্ন সময়ে এই ব্যথা হয় বলে এই সমস্যাকে ক্লাস্টার হেডেক বলা হয়। ক্লাস্টার হেডেকের ব্যথা খুবি তীব্র হয়। চোখের চারপাশটায় জ্বলে যাওয়ার অনুভূতি হয়। এই রোগ হলে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে জল গড়ানোর মতো সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। মাথার যেই দিকে ব্যথা হয় ঠিক সেই দিকের অংশ শুষ্ক মনে হয়। এই ব্যথা ১ সপ্তাহ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। এমনকি এই ব্যথা বড় রোগের কারণও হতে পারে। তাই এই ব্যথা নিয়ে সচেতন হতে হবে।
৫) চোখের জন্য মাথা ব্যথা
চোখে সমস্যা এখন ছোট বড় সবার হয়ে থাকে। এখন ছোট বাচ্চাদের কেও চশমা পড়তে দেখা যায়। আপনার কী জানেন চেখের সমস্যা সুদু চখেই আটকে থাকে না এর ফলে মাথায়ও সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে চখের সমস্যার কারনে কপালে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে একটু রেস্ট বা কপালে ম্যাসাজ করলে ব্যথা কমে যায়
মাথা আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের সবার উচিত মাথায় কোনো সমস্যা বা ব্যথা হলে সেই দিকে নজর দেওয়া। কারণ ছোট ব্যথা থেকে বড় কিছু হাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
0 মন্তব্যসমূহ